, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


দেড় বছর পর শনিবার বিদ্যালয়ে পাঠদান

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ০৯:৫৮:৫০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ০৯:৫৮:৫০ পূর্বাহ্ন
দেড় বছর পর শনিবার বিদ্যালয়ে পাঠদান
আগে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বলতে শুধু শুক্রবার ছিল। তবে বৃহস্পতিবার ছিল হাফ স্কুল। অর্থাৎ দুপুরে স্কুল ছুটি হয়ে যেতে। হঠাৎ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, ২০২৩ সাল থেকে সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও শনিবার স্কুল ছুটি থাকবে। যদিও ছুটি একদিন বাড়ানোর কোনো কারণ বলেননি তিনি।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ২০২২ সালে আগস্ট মাসে হঠাৎ করে জানানো হয়, এখন থেকে শনিবার স্কুল বন্ধ থাকবে। এরপর থেক শুক্র-শনি দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দেড় বছর পর আজ (৪ মে) থেকে ফের শনিবারে বিদ্যালয়ে শুরু হলো পাঠদান।

এতে মিশ্র প্রতিত্রিয়া দেখিয়েছেন অভিভাবকরা ও শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে গিনিপিগ বানিয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে সিদ্ধান্ত বদল দেখলে মনে হয়, শিক্ষার্থী যেন সরকারের ট্রায়ালের মাঠ। তাদের দিয়ে সরকার এক্সপেরিমেন্ট চালায়। এটাতে শিক্ষার ব্যাপাক ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

এদিকে রাজধানী আজিমপুর স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা শাহজাহান মিয়া বলেন, সরকার কী স্কুলশিক্ষার্থীদের দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট (পরীক্ষা) চালায়? না হলে দেড় বছর আগে কেন শনিবার ক্লাস বন্ধ করে আবার চালু করা হলো। এছাড়া তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষণে ক্ষণে সিদ্ধান্ত বদল করতেছে। আজ ২৫ জেলায় স্কুল বন্ধ। বাকি জেলায় স্কুল খোলা। তাহলে কি ওই ২৫ জেলার বাচ্চারা পিছিয়ে পড়বে না। এসব আজগুবি সিদ্ধান্তের কোনো মানে হয় না।
 
এদিকে ভিকারুননিনা নূন স্কুলের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাপপ্রবাহ বাড়ার পর সরকার একের সময় একেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সবার আপত্তির মুখে গত সপ্তাহ শুধু রোববার স্কুল খোলা রাখলো। তারপর সোমবার ঠিকই বন্ধ করতে হলো। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মঙ্গলবার খোলা রাখলো। তীব্র গরমের মধ্যে দুইদিন ক্লাস করিয়ে কী হাসিল করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা আমার বুঝে আসেন না।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, যুগের যুগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রেওয়াজ ছিল বৃহস্পতিবার হাফ, শুক্রবার মাফ, শনিবার বাপরে বাপ। কিন্তু ২০২২ সালে সরকার বিদুৎ সাশ্রয়ের জন্য ২০২২ সালের আগস্ট মাসে থেকে শনিবার ক্লাস বন্ধ রাখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার হাফের পরিবর্তে সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
 
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে কারণে ফের শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এ সিদ্ধান্ত স্থায়ী নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী। এরপরও সন্তুষ্ট নয় শিক্ষকরা। তারা বলছেন, সরকার শিখন ঘাটতির কথা বললেও প্রকৃত পক্ষে বিদ্যালয়ে শিখন ঘাটতি নেই।
সর্বশেষ সংবাদ
বিশ্বে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় শীর্ষে ভারত: মাইক্রোসফটের সমীক্ষা

বিশ্বে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় শীর্ষে ভারত: মাইক্রোসফটের সমীক্ষা